অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক এবং তার মিত্র দেশগুলো তেল উৎপাদনে বড় ধরনের কাটছাঁটের চিন্তা করছে। রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল রপ্তানির উপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন আগামী সোমবার থেকে যে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে যাচ্ছে তার প্রেক্ষাপটে ওপেক প্লাস এই পদক্ষেপ নিতে পারে বলে কয়েকজন বিশ্লেষকের বরাত দিয়ে রিপোর্ট করেছে মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিএনবিসি।
সৌদি আরব এবং রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন ওপেক প্লাস আগামীকাল (রোববার) বৈঠকে বসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং সেখানেই তেলের উৎপাদন পরবর্তী ধাপে কমানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে।
রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল বিক্রির ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার একদিন আগে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এরইমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার তেলের মূল্যসীমা ব্যারেল প্রতি ৬০ ডলার ঠিক করে দিয়েছে। তার আগে শিল্পোন্নত দেশগুলোর সংগঠন জি-সেভেনও একই দাম নির্ধারণ করে। ইউরেশিয়া গ্রুপের বিশ্লেষকরা তাদের গবেষণা নোটে লিখেছেন, তেলের দামের ওপরই ওপেক প্লাসের বৈঠকের সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে।
জ্বালানি বিষয়ক পরামর্শক সংস্থা রিস্টাডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্লডিও গালিমবার্টি সিএনবিসিকে বলেন, রাশিয়ার তেলের মূল্য নির্ধারণের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ওপেক প্লাস তেল উৎপাদন কমাতে পারে। যদিও বিষয়টি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি তবে এটি তেলের বাজারে এক ধরনের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে। ইউরেশিয়া ক্যাপিটাল মার্কেটের কর্মকর্তা হালিমা ক্রফট নিশ্চিত করেন যে, ওপেক প্লাসের আসন্ন বৈঠকে তেলের উৎপাদন বৃদ্ধির আশা করার কোনো কারণ নেই বরং ব্যাপক মাত্রায় তেলের উৎপাদন কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
ক্রফট সতর্ক করে বলেন, তেলের মূল্য সীমা নির্ধারণ করে দেয়ার পর অনেক বেশি অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। চীনে কি ঘটছে তা যেমন ওপেক প্রতিনিধিদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি রাশিয়ার তেল উৎপাদনের ক্ষেত্রে কী ঘটছে সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ব্রেন্ট ক্রুডের দাম যদি ৭০ ডলারের ভেতরে ঠিক করা হয় তাহলে ওপেক নিশ্চিতভাবে তেলের উৎপাদন কমাবে।
এর আগে গত অক্টোবর মাসে ওপেক প্লাস অনেকটা আকস্মিকভাবে তেলের উৎপাদন প্রতিদিন বিশ লাখ ব্যারেল কমিয়েছিল। গতকাল শুক্রবার ব্রেন্ট ক্রুড প্রতি ব্যারেল ৮৬.৮২ ডলারে বিক্রি হয়েছে, গত জুন মাসের প্রথম দিকে এই দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ১২৩ ডলার।
Leave a Reply